এম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া ::
চকরিয়া উপজেলার চিরিঙ্গা ইউনিয়নে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রানালয়ের বরাদ্দের বিপরীতে চলমান নতুন বেড়িবাঁধ নির্মাণ কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন করেছেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ জাফর আলম এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুরউদ্দিন মুহাম্মদ শিবলী নোমান। ওইসময় উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) জোবায়ের হাসান, চিরিঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন, ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার আলী হোসেন, মেম্বার নাজেম উদ্দিন, মেম্বার হাবিব উল্লাহ, আওয়ামীলীগ ও সহযোগি সংগঠনের স্থানীয় নেতাকর্মী এবং এলাকার সুধীজন উপস্থিত ছিলেন।
ইউনিয়নের ৯নম্বর ওয়ার্ডে চলমান বেড়িবাঁেধর নির্মাণ কাজ শেষ হলে এবছর বন্যার তান্ডব থেকে চিরিঙ্গা ইউনিয়নের অন্তত হাজারো পরিবারের সুরক্ষা ও জনগনের ফসলের ক্ষেত এবং চিংড়িপ্রকল্প রক্ষা পাবে বলে নিশ্চিত করেছেন ইউপি চেয়ারম্যান জসীম উদ্দিন।
চকরিয়া উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অধিদপ্তর সুত্রে জানা গেছে, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের আবেদনের প্রেক্ষিতে চলতি অর্থবছর দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রানালয়ের আড়াই শত মেট্রিক টন খাদ্য শষ্যের বিপরীতে চিরিঙ্গা ইউনিয়নের ৯নম্বর ওয়ার্ডে নতুন বেড়িবাঁধটি নির্মাণ করা হচ্ছে।
প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন শেষে চকরিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ জাফর আলম বলেছেন, প্রতিবছর বর্ষাকালে মাতামুহুরী নদীতে ঢলের পানি প্রবাহ বেড়ে যায়। ওইসময় অতিবৃষ্টি ও মাতামুহুরী নদীর ঢলের পানিতে চিরিঙ্গা ইউনিয়নের বেশিরভাগ এলাকা প্লাবিত হয়ে পড়ে। বিষয়টি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা উপজেলা পরিষদের সভায় উপস্থাপন করলে তা সরেজমিনে পরিদর্শন করে ইউনিয়নের ৯নম্বর ওয়ার্ডে একটি বেড়িবাঁধ নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়।
তিনি বলেন, উপজেলা পরিষদের সভার সিদ্বান্তের আলোকে চলতি অর্থবছর দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রানালয়ের আড়াই শত মেট্রিক টন খাদ্য শষ্যের বিপরীতে নতুন বেড়িবাঁধটি নির্মাণ করা হচ্ছে। আশাকরি চলমান বেড়িবাঁেধর নির্মাণ কাজ শেষ হলে ইউনিয়নের জনসাধারণ ও ফসলের ক্ষেত এবং চিংড়িপ্রকল্প বন্যার তান্ডব থেকে রক্ষা পাবে বলে। #
পাঠকের মতামত: